কলকাতা: ‘বঙ্গবিভূষণ’, ‘বঙ্গভূষণ’ এবং ‘মহানায়ক’ পুরস্কারের সময় পার্থ চ্যাটার্জির গ্রেপ্তার ইস্যুতে প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে মামলার শুনানি হোক। দোষী প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। যার জেরে রাজ্যের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শনিবার এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিমারা। কিন্তু পার্থর গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৃণমূল নেতা কী বলছেন তা জানতে আগ্রহী মানুষ। মমতা তার বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ‘বঙ্গবিভূষণ’, ‘বঙ্গভূষণ’ এবং ‘মহানায়ক’ বেছে নিয়েছিলেন।
তিনি সেদিন স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘আমি কোনো অন্যায়কে সমর্থন করি না। দুর্নীতিকে সমর্থন করা আমার নেশাও নয়, আমার পেশাও নয়৷” তবে উল্লেখযোগ্যভাবে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেছিলেন, ‘কেউ কখনও কখনও ভুল করতে পারে। ভুল করা একটি অধিকার। জানালে অপরাধ। জানা না থাকলে সংশোধনের সুযোগ আছে।’ বিরোধীদের প্রশ্ন, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পার্থর কি ভুল মেনে নিয়েছেন?
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে কিছু রাজনৈতিক দলের আচরণে তিনি দুঃখিত ও মর্মাহত। মমতার অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে বিজেপি-সিপিএম ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতি না করলে তাদের জিভ কেটে দিতাম।’ নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা কিভাবে হলো, কারা জড়িত, কারা জড়িত, আমি জানি না। না জেনে মন্তব্য করব কী করে?মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, পার্থকে ফাঁসানো হচ্ছে কিনা সেটাও দেখা উচিত।
এদিন তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কখনই চোর-গুণ্ডাকে দায়মুক্তি দেবে না। আপনি যদি অকারণে আমাকে অপমান করার চেষ্টা করেন তবে টারটি মনে রাখবেন তবে এটি আমার হাতেও রয়েছে।” মেহুল চোকসি এবং ললিত মোদীকে উল্লেখ করে মমতা বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। অন্যদিকে, মমতার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘তৃণমূল নেতারা পার্থকে নাড়াতে চাইছেন।’ মুখ্যমন্ত্রী আজ যেভাবে কথা বলেছেন, তাতে তিনি সরকারি অনুষ্ঠানের মর্যাদা নষ্ট করেছেন।শুভেন্দ্রুর দাবি, পার্থর গ্রেপ্তারে ভয় পাচ্ছেন তৃণমূল নেতা।