ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর ভূত্বকের একটি আকস্মিক, দ্রুত এবং স্থানীয় কম্পন যা ভূপৃষ্ঠে অনুভূত হয়। এটি পৃথিবীর ভূত্বকের মধ্যে শক্তির মুক্তির কারণে ঘটে। ভূমিকম্পের দুটি প্রধান কারণ রয়েছে: প্রাকৃতিক এবং কৃত্তিম।
প্রাকৃতিক কারণ
- টেকটোনিক প্লেট – পৃথিবীর ভূত্বক টেকটোনিক প্লেট দিয়ে তৈরি। এই প্লেটগুলি ক্রমাগত চলাচল করছে এবং একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। যখন এই প্লেটগুলি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন তারা একে অপরের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপটি অবশেষে এতটাই বৃদ্ধি পায় যে এটি ভূত্বকের একটি অংশকে ভেঙে দেয়। এই ভাঙনের ফলে ভূমিকম্প হয়।
- ভূতাত্ত্বিক – ভূমিকম্পের আরেকটি প্রাকৃতিক কারণ হল ভূতাত্ত্বিক কারণ। এই কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ভূগর্ভস্থ জল – ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণে ভূমিকম্প হতে পারে।
- ভূগর্ভস্থ গ্যাস – ভূগর্ভস্থ গ্যাসের স্তর বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণে ভূমিকম্প হতে পারে।
- ভূগর্ভস্থ শিলা – ভূগর্ভস্থ শিলাগুলির ক্ষয় বা অবক্ষয়ের কারণে ভূমিকম্প হতে পারে।
- অগ্ন্যুৎপাত – আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ভূমিকম্প হতে পারে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময়, ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূত্বকের উপরে উঠতে পারে। এই ম্যাগমার ওজনের কারণে ভূত্বক নিচে চাপ সৃষ্টি হয়। এই চাপটি অবশেষে ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।
কৃত্তিম কারণ
- মাইনিং – মাইনিংয়ের সময়, বিপুল পরিমাণ ভূগর্ভস্থ বস্তু উত্তোলন করা হয়। এই বস্তুগুলির উত্তোলন ভূত্বকের ওজনে পরিবর্তন আনতে পারে। এই পরিবর্তনটি ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।
- নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ – পারমাণবিক বোমা বা অন্যান্য নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে। এই বিস্ফোরণের কারণে ভূত্বকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শক্তি মুক্তি পায়। এই শক্তিটি ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।
- চন্দ্রের আকর্ষণ – চন্দ্রের আকর্ষণ পৃথিবীর ভূত্বকের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপটি ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।
ভূমিকম্পের জন্য দায়ী যেকোনো কারণই হোক না কেন, এটি একটি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা ব্যাপক ক্ষতি এবং প্রাণহানি ঘটাতে পারে। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন, তবে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারি।