স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (SHG) সদস্যরা বিভিন্ন জীবিকা-সংক্রান্ত কার্যক্রমের সাথে জড়িত, যেমন কৃষি, উদ্যানপালন, ফুলের চাষ, রেশম চাষ, পশুপালন, দুগ্ধ চাষ, মৎস্য চাষ, অ-টিম্বার বনজ উৎপাদন, হস্তশিল্প, তাঁত, ক্ষুদ্র শিল্প উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং কারিগরি কাজ। এ ছাড়া, তারা ক্যাডার পরিষেবা, পর্যটন ও আতিথেয়তা, পরিবহন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, এবং আর্থিক পরিষেবার মতো পরিষেবা-ভিত্তিক উদ্যোগগুলির সাথেও যুক্ত।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সমস্ত জীবিকা কার্যক্রমের রেকর্ড রাখার জন্য “আজীবিকা নিবন্ধন” একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এটি ডিজাইন করা হয়েছে গোষ্ঠীগুলির আয়ের উন্নয়ন এবং জীবিকা বৈচিত্র্যকরণের জন্য একটি কার্যকর পন্থা হিসাবে। এর মূল লক্ষ্য হলো প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী (SHG) পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নীত করা এবং তাদেরকে লখপতি মর্যাদায় পৌঁছাতে সহায়তা করা।
নিবন্ধনের মাধ্যমে ফেডারেশন মিশন ইউনিট এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উন্নত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে এবং “লক্ষপতি দিদি” প্রকল্পের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে পারে। গ্রাম সংস্থা (VO) স্তরে এই রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রতি ছয় মাস পর আপডেট করা হয়, সাধারণত ফসল কাটার পর বা ব্যবসায়িক চক্র শেষ হওয়ার সময়।
নিম্নলিখিত তথ্যগুলো রেজিস্টারে ক্যাপচার করা হবে:
মৌলিক তথ্য:
- প্রোফাইল: ব্যক্তির বা পরিবারের মৌলিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
- ক্যাপিটালাইজেশন সাপোর্ট: পুঁজি বৃদ্ধির সহায়তা যেমন ঋণ, অনুদান ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত হবে।
- ব্যাঙ্ক লিঙ্কেজ বা অন্যান্য অনুদান/লোন প্রাপ্ত: ব্যাংকের সাথে সংযুক্তি, অনুদান বা ঋণ প্রাপ্তির বিস্তারিত তথ্য।
কৃষি ও সহযোগী কার্যক্রম থেকে আয়:
- কৃষি, পশুসম্পদ, মৎস্য, কাঠ-বহির্ভূত বন উৎপাদন কার্যকলাপ ইত্যাদি থেকে নিট আয়: এই ক্ষেত্রে কৃষি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত আয়ের তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যেখানে ব্যয় বাদ দিয়ে নিট আয় গণনা করা হবে।
উত্পাদন/বাণিজ্য/পরিষেবা উদ্যোগ থেকে আয়:
- SHG (Self-Help Group) পরিবারের নিট আয়: উৎপাদন, বাণিজ্য বা সেবামূলক উদ্যোগ থেকে SHG পরিবারের প্রাপ্ত আয়ের তথ্য গণনা করা হবে।
বেতন/ফি/সম্মানী ভাতা থেকে আয়:
- চাকরি বা সম্মানী ভিত্তিক আয়: মাসিক বেতন, ফি বা সম্মানী আয়ের ভিত্তিতে পরিবারে প্রাপ্ত আয়ের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
একজন কর্মী হিসাবে আয় (কৃষি/উৎপাদন/অন্যান্য):
- কর্মী হিসেবে আয়: কৃষি, উৎপাদন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মী হিসেবে কাজ করে প্রাপ্ত আয়ের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
কমিশনের মাধ্যমে আয়:
- ক্ষতিপূরণের ফর্ম: কমিশনের ভিত্তিতে প্রাপ্ত আয়, যা পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি, ডিল সুরক্ষিত বা ব্যবসা সৃষ্টির মাধ্যমে আসে, তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
রেমিটেন্সের মাধ্যমে আয়:
- অভিবাসী ব্যক্তির পাঠানো অর্থ: অভিবাসী ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের বা নির্ভরশীলদের জন্য যে অর্থ পাঠায়, সেই আয়ের তথ্য ক্যাপচার করা হবে।
অন্য কোন আয়:
- অন্য উৎস থেকে প্রাপ্ত আয়: অন্যান্য আয়ের উৎস যেমন ব্যক্তিগত উদ্যোগ বা অন্য যেকোনো আয়ের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া:
- প্রশিক্ষণ ও ক্ষমতাবৃদ্ধি:
রাজ্য, জেলা এবং ব্লক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ এবং ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে সক্ষম করা হবে। - VO ডেটা ম্যানেজমেন্ট:
জীবিকা ই-সিআরপি বা ডেটা এন্ট্রি সখি তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য চিহ্নিত করা হবে এবং তাদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। - তথ্য সংগ্রহ:
জীবিকা ই-সিআরপি সদস্যদের থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করবে। - ডেটা এন্ট্রি:
সংগৃহীত তথ্য এমআইএস পোর্টালে আপলোড করা হবে, যাতে তথ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। - পর্যবেক্ষণ কমিটি:
জেলা ব্যবস্থাপক (এমআইএস) এবং জীবিকা সংক্রান্ত একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে, যা তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ার সঠিকতা ও কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করবে। - তৃতীয় পক্ষের মূল্যায়ন:
তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নিয়মিত বিরতিতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে, যা তথ্যের নির্ভুলতা ও প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।